আশরাফুল আলম সাগরঃ আলী খান কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজের বিভিন্ন শাখা প্রশাখায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি সংক্রান্ত ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) এর আনীত অভিযোগের মধ্যে ০৬ টি অভিযোগের মধ্যে ০৬ টি অভিযোগই প্রমাণিত হয়।যার ফলপ্রসূতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আকবর আলী খান কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় সারাদেশে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানটির ৩৪ টি স্থায়ী শাখা ও ভ্রাম্যমান প্রশিক্ষণ ইউনিট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে । কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দিতে অবস্থিত মূল শাখা। প্রতিষ্ঠানটির সকল শাখার শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও স্থগিতেরও নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
জানা যায়, ঢাকায় একটি মহিলা শাখাসহ ৫টি এবং দেশের অন্যান্য জেলা পঞ্চগড়, মেহেরপুর, রাজবাড়ী, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, নরসিংদী, ময়মনসিংহ, কিশোরগজ্ঞ, গাজীপুর, মানিকগজ্ঞ, চিটাগাংরোড(নারায়ণগঞ্জ), মতলব উত্তর, মনোহরদি, হোসেনপুর, কটিয়াদি, পাকুন্দিয়া, চান্দিনা, বুড়িচং, বরুড়া, গোপালগজ্ঞ, হোমনা, মুরাদনগর ইত্যাদি স্থানে শাখা এবং দেশের প্রত ৩৫টি স্থায়ী অঞ্চলসহ বেশ কয়টি জেলাতে ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণ ইউনিট রয়েছে।
কলেজটির অধ্যক্ষের এমপিও সাময়িক স্থগিত হয়েছে ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে। এরপর তিনি ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে সাময়িক স্থগিতাদেশ বাতিলের চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন।
গতকাল [২৬ এপ্রিল]স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে কলেজটির মূল শাখার অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এর এমপিও স্থায়ীভাবে স্থগিত ও বাতিল কেন হবে তা জানাতে কারণ দর্শানো নোটিশ দিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক এমপিও বাবদ সরকারি কোষাগার থেকে যত টাকা অবৈধভাবে নিয়েছেন তা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়ার জন্য পিডিআর আইন ১৯১৩ অনুযায়ী মামলা দায়ের করার জন্য অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে।
কারিগরি বোর্ডর চেয়ারম্যান বরাবর লেখা মন্ত্রণালয়ের অপর এক চিঠিতে কলেরেজ গভর্নিং বডির সভাপতি মো. রশিদুল হক খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থ গ্রহণের জন্যও নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমপিও অধিশাখার উপ-সচিব নুসরাত জাবীন বানু স্বাক্ষরিত তিনটি আলাদা চিঠিতে শাখা বন্ধ, এমপিও স্থগিত ও অধিদপ্তর এবং বোর্ডকে এসব নির্দেশের কথা বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের একাধিক তদন্তে শিক্ষক নিয়োগ ও শাখা খোলায় প্রতারণা, জালিয়াতি, স্বজনপ্রীতি এবং ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে, চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সুপারিশ আমলে নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রনালয় অভিযোগকারী হিসেবে ২৬ এপ্রিল জনাব মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) ,চেয়ারম্যান ,ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি(IHCRS) বরাবর সদয় জ্ঞাতার্থে/ কার্যার্থে অনুলিপি প্রদান করেন।
জানা যায়, ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থায়ীভাবে শাখা স্থাপন, ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্প্রসারণ, কোর্সের মূল্যায়ন ও সনদপত্র প্রদান, সরকারি বেতনভাতা প্রদান, কোর্স পরিচালনা ইত্যাদি ব্যাপারে মহামান্য রাষ্ট্রপতি নীতিমালা অনুমোদন করেন যা ১৯৮৬সালে সংসদীয় ১নং আইনের অন্তর্ভূক্ত হয়। উক্ত আইনের কাঠামোতেই কলেজটি পরিচালিত হচ্ছে।